বার্তা পরিবেশক:
মামলা আপোস না দেওয়ায় ষাটোর্ধ বৃদ্ধকে ইয়াবা মামলা দিয়ে আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতের আধারে উক্ত বৃদ্ধকে টেকনাফ থানার এস.এই মুফিজ আটকের পর ইয়াবা পাঁচার মামলা দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন মিথ্যা মামলার স্বিকার বৃদ্ধের পরিবার। ৮ জুন বিকালে শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনেন মিথ্যা মামলায় আটক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া গ্রামের নুর আহমদের কণ্যা আজিজা আক্তার। এ সময় বৃদ্ধের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার আব্দুল গফুরের পুত্র শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করায় উক্ত শফিক পুলিশের এস.আই মুফিজের সাথে আতাঁত করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নুর আহমদকে ইয়াবা মামলা সাজিয়ে আটক করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে নুর আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

মিথ্যা মামলায় আটক নুর আহমদের মেয়ে আজিজা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৬ জুন রাতে টেকনাফ ডেইল পাড়াস্থ বাসায় সবাই যথারিতি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে এস.আই মুফিজুর রহমান ও একজন পুলিশ সদস্য দরজায় কড়া নাড়ে। পুলিশের ডাক শুনে আমার বাবা নুর আহমেদ দরজা খুলে দিলে পুলিশ আমার বাবাকে ইয়াবা চালানের আভিযোগ আছে বলে ধরে নিয়ে যায়। অথচ রাতে বাড়িতে আমার বড় ৩ ভাই উপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র আমার বাবা মামলার বাদি হওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দুই হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে আমার বাবাকে র্কোটে চালান দেয়। আজিজা জানায়, তার বাবা পেশায় রাজ মিস্ত্রি এবং তাবলিগ জামাতের কর্মি । একই এলাকার আব্দুল গফুরের পুত্র মো: শফিক গং এর বিরুদ্ধে জায়গা জমি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল টেকনাফ থানায় মামলা করার কারনে (মামলা নং:১১৯/৩০-০৪-২০১৭ইং) এবং এ মামলা আপোষ না দেওয়ায় শফিক গং পরিকল্পিতভাবে এস.আই মুফিজকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আমার বাবা মামলার বাদি নুর আহমদকে ইয়াবা দিয়ে আটক করেছে। অসহায় ষার্টোধ নুর আহমদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার ও এস.আই মুফিজের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন অসহায় নুর আহমদের পরিবার।